ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক । আজকের এই পোষ্টে আমরা কথা বলবো ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য কী কী কাগজপত্র আপনার প্রয়োজন হবে? কোথায় জমা দেওয়া লাগবে ? এই সকল যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর নিয়ে।
আমাদের দেশে অনেকেই আছে যারা দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনীয়তার কারনে নিজের এলাকার বাহিরে অবস্থান করতে হয়। তাই যখন ভোটার তথ্য হালনাগাদ শুরু হয় তখন নিজ এলাকায় না ফিরতে পারাই তারা অবস্থানরত এলাকায় ভোটার হয়ে থাকে
অথবা হতে পারে আপনি সেই এলাকায় কর্মরত ছিলেন বা অনেক দিন ধরে সেই এলাকায় বসবাস করতেন তাই সেখানেই ভোটার হয়েছেন এখন নিজ এলায় চলে এসেছেন। তাই
এখন আপনি চান নিজ এলাকায় ভোট প্রধান করবেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে ভোটার এরিয়া স্থানান্তর করা অর্থাৎ ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করা। তো চলুন এই সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম বা NID Transfer
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম খুব সহজ তবে এর জন্য আপনাকে কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে । চলুন সেগুলো একে একে জানা যাক-
প্রথমে আপনি যে এলাকায় আপনার ভোটার এরিয়া স্থানান্তর করবেন সেই এলাকার উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেয়ে ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা NID Transfer এর একটি আবেদন করতে হবে।
আচ্ছা আর একটু বুঝিয়ে বলি, ধরুন আপনি ঢাকা তে থাকতেন এবং আপনার ভোট ঢাকা তেই লিখিয়েছেন, এতোদিন যাবত আপনি ঢাকাতেই ভোট দিয়ে আসছেন। মনেকরুন, আপনার গ্রামের বাসা খুলনা ।
এখন আপনি চান ভোট খুলনা থেকে দিতে। তাহলে আপনাকে ভোটার কেন্দ্র স্থানান্তর করার প্রয়োজন পড়বে। তার জন্য আপনাকে খুলনা উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেয়ে ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা NID Transfer এর একটি আবেদন করতে হবে।
আবেদন দাখিল করার জন্য আপনাকে একটি ফরম ফিলাপ করতে হবে। যেই ফরমটির নাম "ফরম-১৩" । এখন আপনি চাইলে এই "ফরম-১৩" নামের ফরমটি উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকেও নিতে পারবেন আবার চাইলে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে ফিলাপ করে জমা দিতে পারবেন।
"ফরম-১৩" সুন্দর ভাবে ফিলাপ করা শেষ হলে ফরম-১৩ সহ আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র আপনাকে নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।
ফরম-১৩ এর সাথে আপনার প্রথমে যেটার প্রয়োজন হবে সেটা হলো আপনার ভোটার আইডি কার্ড। তারপর আপনি যে এলাকার বাসিন্দা সেই এলাকার চেয়ারম্যান সনদ বা চেয়ারম্যান প্রত্রয়ন প্রত্র।
একটি বিদ্যুৎ বিল এর ফোটোকপি। এছাড়াও বর্তমানে প্রায় সব এলাকাতে পৌর কর চালু হয়েছে যেই হিসাবে এখন গ্রামের বাসিন্দাদের কর দিতে হয়, এখন যদি আপনার এলাকার কর প্রদান চালু হয়ে থাকে তাহলে একটা কর প্রদানের রসিদ সাথে নিতে হবে।
সব কাগজ গুলো ফোটোকপি করে এক সাথে পিনআপ করে আপনি যেই এলাকায় ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা NID Transfer করতে চান সেই এলাকার উপজেলা নির্বাচন অফিসে নিজে যেয়ে সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে আসবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসে সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে আসার কিছু দিন পর আপনি ফোনে এসএমএস পাবেন বা অনলাইনে চেক করলে বুঝতে পারবেন আপনার ভোটার এরিয়া পরিবর্তন হয়েছে কি না।
আপনার ভোট স্থানান্তর হলেও আপনি নতুন করে আর ভোটার আইডি কার্ড পাবেন না অর্থাৎ আপনি যে আপনার ভোটার এলাকা পরিবর্তন করলেন এর জন্য আপনাকে নতুন করে ভোটার আইডি কার্ড দেয়া হবে না।
এই আইডি কার্ড যদি আপনি পেতে চান, তাহলে আপনাকে অনলাইনে রিইস্যুর জন্য নির্ধারিত ফিস প্রদান করে আরো একটি আবেদন করতে হবে এবং সেখান থেকে আপনার নতুন ভোটার আইডি টি প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে
- ফরম-১৩
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- চেয়ারম্যান সনদপত্র / চেয়ারম্যান প্রত্রয়ন পত্র
- বিদ্যুৎ বিলের কাগজ
- কর/ট্যাক্স এর রসিদ
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নউত্তর
প্রশ্ন: ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কী কোনো ফি/টকা প্রদান করতে হয়?উত্তরঃ ভোট স্থানান্তর করতে কোনো ফিস বা টাকা প্রধান করতে হয় না।
প্রশ্ন: অনলাইনে কী ভোটার এলাকা পরিবর্তন এর জন্য আবেদন জমা দেয়া যায়?
উত্তরঃ অনলাইনে ভোট স্থানান্তরের জন্য আবেদন জমা দেয়া যায় না।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় ভিজিটর, আজ এই পর্যন্তই। আশাকরি সম্পুর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে একটি ভোটার কেন্দ্র স্থানান্তর করতে হয় এবং কী কী কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।
এরপরও যদি কোনো কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে আপনার মতামত প্রদান করতে পারেন ।
সম্পর্কিত অনুসন্ধান: অনলাইনে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে, এক ভোটার এলাকা থেকে অন্য এলাকায়, ভোটার এলাকা স্থানান্তরের নিয়ম, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কতদিন সময় লাগে